SSC 2021 উদ্ভাসিত মুখ কার্যক্রমে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন চলছে...

লেখক: উদ্ভাস | সঙ্কলনের দিন: নভেম্বর 08, 2021

বই খুলে পরীক্ষা দাও, মেধাবৃত্তি জিতে নাও। হ্যাঁ, প্রতিবারের মতো এবারও শুরু হতে যাচ্ছে সমগ্র দেশব্যাপী SSC 2021 (বিজ্ঞান) পরীক্ষার্থীদের মাঝে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন শর্ট সিলেবাসের উপর প্রতিযোগিতামূলক Open Book Exam ‘SSC 2021 উদ্ভাসিত মুখ’। যার মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রথম ১০০০ জন উদ্ভাসিত মুখকে প্রদান করা হবে সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি ও পুরস্কার!

 

►OPEN BOOK EXAM: পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীরা যেকোনো বই সাথে রাখতে পারবে এবং প্রয়োজনবোধে সেখান থেকে সাহায্য নিতে পারবে। কারণ এই পরীক্ষায় মুখস্থবিদ্যা নয়, বরং Conception যাচাই করা হবে।  

 

পরীক্ষার তারিখ: দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় ফিজিক্যালি পরীক্ষা- ২৬ নভেম্বর, ২০২১ (শুক্রবার)

 ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো 

 

প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি:

★যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে: SSC 2021 বিজ্ঞান বিভাগের যেকোনো পরীক্ষার্থী

★প্রশ্নের ধরন:

  • MCQ ২০টি প্রশ্ন (২০×৩) = ৬০ নম্বর
  • লিখিত ০৪টি প্রশ্ন (৪×১০) =৪০ নম্বর
  • সর্বমোট ১০০ নম্বর, সময়: ১ ঘণ্টা

★পরীক্ষার সিলেবাস: SSC 2021 পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন (শর্ট সিলেবাস)

★পরীক্ষার কেন্দ্র: দেশব্যাপী উদ্ভাস-উন্মেষ এর সকল শাখা ও জেলাভিত্তিক এক্সাম সেন্টার

★ব্যাচের সময়সূচি:   

  • মেয়ে – সকাল ৯টা/ বিকাল ৩টা
  • ছেলে – সকাল ১০:১৫টা/ সকাল ১১:৩০টা/বিকাল ৪:১৫টা  

★শিক্ষাবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণী: তারিখ, স্থান ও সময় SMS-এ জানানো হবে

 

কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা ও উত্তর
 
♦‘বই খুলে পরীক্ষা’ এটা আবার কেমন পরীক্ষা?

এরই মধ্যে অনেকেরই হয়তো চোখ কপালে উঠে গেছে, ‘বই খুলে পরীক্ষা!!!’ এটা আবার কেমন পরীক্ষা? কারণটা বোঝার চেষ্টা করা যাক। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি- ‘না বুঝে মুখস্থ করার অভ্যাস প্রতিভাকে ধ্বংস করে।’ বই খুলে পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই এটা, যে তুমি কতটা ‘তথ্য’ মুখস্থ করেছো সেটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং সেটা থেকে তুমি কী বুঝলে এবং কতটা প্রয়োগ করতে পারলে সেটাই আসল। এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে আসলে আমরা দেখতে চাই-

  • পাঠ্যবিষয়গুলো নতুন নতুন ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োগ করতে পারো
  • বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে কতটা সমন্বয় সাধন করতে পারো এবং
  • নতুন একটা বিষয় কীভাবে বিশ্লেষণ করতে পারো

মোট কথা সৃজনশীলতা উন্মেষের পাশাপাশি গঠনমূলক চিন্তার অভ্যাস গড়ে তোলাটাই এ জাতীয় পরীক্ষার মূল লক্ষ্য।

 

♦কী ধরনের প্রশ্ন আসবে?

যেহেতু এ পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হলো বিষয়ভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণাকে উৎসাহ প্রদান আর সৃজনশীল চিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করা। তাই তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন আসবে না বললেই চলে অর্থাৎ ‘গিনি ও পালক পরীক্ষাটি কে করেন?’ কিংবা ‘মানবদেহের হাড় কয়টি’ এ ধরনের সরাসরি প্রশ্ন করা হবে না যার উত্তর বই থেকে উত্তরপত্রে স্থানান্তর করা যায়। বরং সিলেবাসের মধ্য থেকেই এমন প্রশ্ন আসবে যেটার মাধ্যমে প্রমাণ হবে তুমি আসলে ঐ Topic বুঝেছ কিনা।

 

♦তাহলে বই খুলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেব কীভাবে?

সনাতন মুখস্থনির্ভর পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিলে তা এই পরীক্ষায় কোনো কাজে আসবে না। যখন তুমি দেখবে বই থেকে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছ না, তখন তোমার মনে হবে মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা কতটা অসাড় আর এখানেই এ পরীক্ষার সাফল্য। প্রতিটি বিষয়ের গভীরে জানা এবং বাস্তব সমস্যার উপযোগী করে সেটাকে প্রয়োগ করতে পারাটাই আসলে সৃজনশীলতা। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী এখনও অঙ্কের নম্বর দেখে মনে রাখে এটা ‘ল.সা.গু.’ দিয়ে করতে হবে নাকি ‘গ.সা.গু.’ দিয়ে করতে হবে কিংবা ওটা কত নম্বর উপপাদ্য! এই পরীক্ষার পদ্ধতি এসবের বিরুদ্ধেই এক নীরব প্রতিবাদ। সহজ কথায় এই পরীক্ষায় ভালো করতে হলে প্রতিটি Topic তোমাকে ভালো করে বুঝতে হবে এবং প্রতিটি জিনিস কেন হলো?-তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

 


< সকল পোষ্টে ফিরে চলুন