SSC উদ্ভাসিত মুখ ২০২৫

মুখস্থবিদ্যা নয় বরং Conception যাচাই করার জন্যই দেশব্যাপী SSC 2025 (বিজ্ঞান) পরীক্ষার্থীদের মাঝে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাধারণ গণিত ফুল সিলেবাসের উপর প্রতিযোগিতামূলক Open Book Exam ‘SSC উদ্ভাসিত মুখ 2025’ প্রোগ্রামের আয়োজন। যার মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রথম ১০০০ জনকে প্রদান করা হবে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকার নগদ মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার! রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি!

Image

এই প্রোগ্রামের কোর্সসমূহ

 বই খুলে পরীক্ষা দাও, মেধাবৃত্তি জিতে নাও।

 

 

হ্যাঁ, প্রতিবারের মতো এবারও শুরু হতে যাচ্ছে সমগ্র দেশব্যাপী SSC 2025 (বিজ্ঞান) পরীক্ষার্থীদের মাঝে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাধারণ গণিত এর উপর প্রতিযোগিতামূলক Open Book Exam ‘SSC উদ্ভাসিত মুখ ২০২৫’। যার মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রথম ১০০০ জন উদ্ভাসিত মুখকে প্রদান করা হবে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকার মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার!

 

OPEN BOOK EXAM কী: Open Book Exam এর মানে হলো, পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীরা যেকোনো বই সাথে রাখতে পারবে এবং প্রয়োজনবোধে সেখান থেকে সাহায্য নিতে পারবে। কারণ এই পরীক্ষায় মুখস্থবিদ্যা নয় বরং Conception যাচাই করা হবে।

 

পরীক্ষার তারিখ: দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় অফলাইন পরীক্ষা ১৬ মে, ২০২৫ (শুক্রবার)

 

৫ লক্ষ টাকার নগদ মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার

 

 প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি:

 যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে: SSC 2025 বিজ্ঞান বিভাগের যেকোনো পরীক্ষার্থী।

 প্রশ্নের ধরন:

  • MCQ: ১৮টি প্রশ্ন (১৮×২) = ৩৬ নম্বর
  • Written: ০৩টি প্রশ্ন (৩×৮) = ২৪ নম্বর
  • সর্বমোট ৬০ নম্বর, সময়: ১ ঘণ্টা
  • প্রতি ৪টি MCQ ভুল উত্তরের জন্য ১টি শুদ্ধ উত্তরের সমান নম্বর কাটা যাবে।
  • ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।

 পরীক্ষার সিলেবাস: SSC 2025 (ফুল সিলেবাস) পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও সাধারণ গণিত।

 পরীক্ষার কেন্দ্র: দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় উদ্ভাস-উন্মেষ এর ১০৫টি শাখায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 ব্যাচের সময়সূচি: মেয়ে – সকাল ১০টা, ছেলে – বিকেল ৩টা।

 সম্মাননা পুরস্কার: প্রথম ১০০০ জনের প্রত্যেকের জন্য ক্রেস্ট।

 পার্টিসিপেন্ট গিফট: পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে পাবে- আধুনিক পর্যায় সারণি।

 রেজিস্ট্রেশন: সম্পূর্ণ ফ্রি!

 

 কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা ও উত্তর:

 ‘বই খুলে পরীক্ষা’- এটা আবার কেমন পরীক্ষা?

এরই মধ্যে অনেকেরই হয়ত চোখ কপালে উঠে গেছে, ‘বই খুলে পরীক্ষা!!!’ এটা আবার কেমন পরীক্ষা? কারণটা বোঝার চেষ্টা করা যাক। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- ‘না বুঝে মুখস্থ করার অভ্যাস প্রতিভাকে ধ্বংস করে।’ বই খুলে পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই এটা, যে তুমি কতটা ‘তথ্য’ মুখস্থ করেছ সেটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং সেটা থেকে তুমি কী বুঝলে এবং কতটা প্রয়োগ করতে পারলে সেটাই আসল। এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে আসলে আমরা দেখতে চাই-

  • পাঠ্যবিষয়গুলো নতুন নতুন ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োগ করতে পারো
  • বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে কতটা সমন্বয় সাধন করতে পারো এবং
  • নতুন একটা বিষয় কীভাবে বিশ্লেষণ করতে পারো

 

 কোন ধরনের প্রশ্ন আসবে?

যেহেতু এ পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হলো বিষয়ভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণাকে উৎসাহ প্রদান আর সৃজনশীল চিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করা। তাই তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন আসবে না বললেই চলে অর্থাৎ ‘গিনি ও পালক পরীক্ষাটি কে করেন?’ কিংবা ‘মানবদেহের হাড় কয়টি’ এ ধরনের সরাসরি প্রশ্ন করা হবে না, যার উত্তর বই থেকে উত্তরপত্রে স্থানান্তর করা যায়। বরং সিলেবাসের মধ্য থেকেই এমন প্রশ্ন আসবে যেটার মাধ্যমে প্রমাণ হবে তুমি আসলে ঐ টপিক বুঝেছ কিনা।

 

 তাহলে বই খুলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেব কীভাবে?

সনাতন মুখস্থ নির্ভর পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিলে তা এই পরীক্ষায় কোনো কাজে আসবে না। যখন তুমি দেখবে বই থেকে সরাসরি কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছ না, তখন তোমার মনে হবে মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা কতটা অসাড় আর এখানেই এ পরীক্ষার সাফল্য। প্রতিটি বিষয়ের গভীরে জানা এবং বাস্তব সমস্যার উপযোগী করে সেটাকে প্রয়োগ করতে পারাটাই আসলে সৃজনশীলতা। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থী এখনও অঙ্কের নম্বর দেখে মনে রাখে এটা ‘ল.সা.গু.’ দিয়ে করতে হবে নাকি ‘গ.সা.গু.’ দিয়ে করতে হবে কিংবা ওটা কত নম্বর উপপাদ্য! এই পরীক্ষার পদ্ধতি এসবের বিরুদ্ধেই এক নীরব প্রতিবাদ। সহজ কথায় এই পরীক্ষায় ভালো করতে হলে প্রতিটি টপিক তোমাকে ভালো করে বুঝতে হবে এবং প্রতিটি জিনিস ‘কেন হলো?’-তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

 

৫ লক্ষ টাকার নগদ মেধাবৃত্তি
মেধাস্থান নগদ মেধাবৃত্তি
১ম-৫ম প্রত্যেকে ১০,০০০/-
৬ষ্ঠ-১০ম প্রত্যেকে ৫,০০০/-
১১তম-২০তম প্রত্যেকে ৩,০০০/-
২১তম-৫০তম প্রত্যেকে ১,৫০০/-
৫১তম-১০০তম প্রত্যেকে ১,০০০/-
১০১তম-৫০০তম প্রত্যেকে ৫০০/-
৫০১তম-১০০০তম প্রত্যেকে ২০০/-